সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নববধু নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে উদ্ধারের নামে মোটা অংকের টাকা দাবী করায় এঘটনায় এক সকরকারি নারী কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হলেও এখন সন্ধান পাওয়া যায়নি নিখোঁজ নববধুর।
সূত্র জানায়, গেল ৯ জুলাই উপজেলা সদরের ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন সমাজসেবা অফিসের নিরাপত্ত প্রহরী রমজান আলীর সদ্য বিবাহিতা কন্যা কোহিনুর আক্তার আশা (২১)। তিনি মাবার সাথে বিশ্বনাথেই বসবাস করতেন। এর আগে ৫ জুন নিজ গ্রামের বাড়ী বিবাড়িয়ায় আলমগীর হোসেন নামের এক প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয় তার। ১৯ জুন ফের বিশ্বনাথে ফিরেন তিনি। নিখোঁজের দিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেন নি তিনি। পর দিন তার সন্ধান চেয়ে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী (নাম্বার-৩৪০) করেন পিতা রমজান আলী।
এ দিকে তাকে উদ্ধারের নামে কোহিনুরের পিতার কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে বসেন উপজেলা সমবায় অফিসের সাবেক (এমএলএস) রোজিনা আক্তার। তাকে সাথে নিয়ে তার কথামতো সিলেটে শহরে দুই অপরিচিত যুবকের হাতে ১৩ হাজার টাকাও তুলে দেন রমজান আলী। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে র্যাবের সহায়তা লাগবে জানিয়ে আরও ৫ লক্ষ্য টাকা দাবী করে সে।
রমজান আলী সাংবাদিকদের জানান, একই এলাকার মেয়ে হওয়ায় রোজিনার সাথে আমাদের সখ্যতা গড়ে উঠেআমার মেয়ে নিখোঁজের একদিন পর এসে জানায় কোহিনুর বিশ্বনাথেই আছে। তাকে উদ্ধারে সে বিশাল অংকের টাকা চেয়ে বসে। আমাদের ধারণা আমার মেয়ে নিখোঁজের পেছনে তার হাত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৪ জুন কোহিনুরের মেহেদী সন্ধ্যার রাতে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নাম্বার থেকে কোহিনুরকে বিয়ে না দেওয়ার জন্যে হুুমকি দেয়। নিখোঁজের পরও একাধিক নাম্বার থেকে ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠাচ্ছে কেউ।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারের নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগে রোজিনা নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধানে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
Development by: webnewsdesign.com