সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হলেও ওপারে পাহাড়ি ঢল নামায় নদ–নদীর পানি বাড়ছে। এতে নদ-নদীর অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানান, পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে সিলেট অঞ্চলের নদ–নদী অববাহিকা উপজেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা পরিমাপ করা হয় কানাইঘাট ও সিলেট শহর এলাকার দুটি পয়েন্টে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ, শেওলা, শেরপুর ও সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমা পরিমাপ করা হয়। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা প্রতিদিন তিন বেলা পানি মাপা হয়।

পাউবো জানায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট অংশে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সোমবার দুপুরের পরিমাপ অনুযায়ী সেখানে পানি ১৩ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর সিলেট শহরের অংশে বিপৎসীমার দশমিক ৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলসিদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। সেখানে দশমিক ১৩ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারার অন্যান্য পয়েন্টের মধ্যে শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ দিয়ে পানি বিপদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শেরপুর পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৮ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার। সেখানে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

সীমান্ত থেকে নেমে আসা লোভা নদীর পানি লোভছড়া পয়েন্টে ১৪ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে পানির বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৭৮ সেমি। সারী নদীর সারীঘাট এলাকায়ও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুরমা, কুশিয়ারা, সারী ও লোভা নদী ছাড়াও সিলেট জেলায় পাহাড়ি ঢল নামে পিয়াইন, ডাউকি ও ধলাই নদ দিয়ে। এ তিন সীমান্ত নদী গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে। সীমান্তের তিনটি নদী গুয়াইন, চেঙ্গরখাল নদ হয়ে বিভিন্ন শাখা-উপশাখার মাধ্যমে সুরমা-কুশিয়ারায় মিলিত হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com