বেলজিয়ামে পশু জবাই নিষিদ্ধের আইনের বিরুদ্ধে মুসলিম ও ইহুদিদের মামলা

শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০ | ২:২৩ অপরাহ্ণ

বেলজিয়ামে পশু জবাই নিষিদ্ধের আইনের বিরুদ্ধে মুসলিম ও ইহুদিদের মামলা

অচেতন না করে পশু জবাই নিষিদ্ধের আইনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদলত মামলা করেছে ইউরোপের মুসলিম ও ইহুদিরা সম্প্রদায়।

সম্প্রতি বেলজিয়াম অচেতন না করে পশু জবাই নিষিদ্ধ করে একটি আইন করে। এতে মুসলিম ও ইহুদি সমাজে প্রচলিত পশু জবাই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হয়। এ আইনের বিরুদ্ধে লুক্সেমবার্গের দি ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা উভয় সম্প্রদায়। তারা এটিকে ধর্মীয় স্বাধীয়নতায় বাঁধা প্রদান বলে উল্লেখ করে।

এটর্নি ভ্যালারি ডি শেপার বেলজিয়াম সরকারে পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলে, ব্যবস্থাটি নিরপেক্ষ ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এতে কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালায় পশু জবাইয়ের আগে পশুর কষ্টের প্রতি সদয় হতে বলা হয়েছে। তবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো ধর্মীয় জবাইয়ের বিকল্প তৈরি করতে পারে। বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষের মতে মুসলিম ও ইহুদিরা ইইউর ছাড়প্রাপ্ত অন্য দেশ থেকে মাংস আমদানি করতে পারে।

 

বেলজিয়ামের সেন্ট্রাল ইসরাইলি কনসালটারির এমানুয়েল জ্যাকুবুইটস ১৫ প্যানেলের বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলে, প্রত্যেক জবাইয়ের কার্যক্রম খুবই গভীরভাবে পর্বেক্ষণ করা হয়। জবাইয়ের আগে প্রাণীর সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া ইউর অনেক নীতিমালা পশু কল্যাণ আইনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিষয়ে ছাড় দেয়। তাই পশু ভক্ষণ ও শিকারের তা প্রযোজ্য হবে না।

২০১৮ সালে কসাইখানায় জবাইয়ের বিষয়ে মুসলিমরা বেলজিয়ামের আরেকটি আইনেও হেরেছিল। ডানপন্থীদের নির্দেশনায় প্রত্যেকবার আইন প্রণয়ন হওয়ায় অনেকের মনে করেন, প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার চেয়ে ইসলাম ও ইহুদিদের বিরোধিতায় তারা বেশি আগ্রহী।

 

বেলজিয়ামে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মুসলিম ও তিন লক্ষাধিক ইহুদি বসবাস করে। মুসলিম ও ইহুদি সম্প্রদায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় পশু জবাই করে থাকে। ইতিপূর্বে সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার অচেতনবিহীন পশু জবাই নিষদ্ধ করা হয়েছে। এরপর বেলজিয়ামেও আনুষ্ঠানিকভাবে পশু জবাই নিষেধ করা হয়েছে।

সূত্র : কোর্ট হাউজ নিউজ

Development by: webnewsdesign.com