পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা তাপস হত্যাকান্ডে ১৩ জনকে জেলে প্রেরণ

বৃহস্পতিবার, ০৯ জুলাই ২০২০ | ৬:৫১ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা তাপস হত্যাকান্ডে ১৩ জনকে জেলে প্রেরণ
মৃত তাপস

পটুয়াখালীর বাউফলে নির্মম হত্যার শিকার যুবলীগ নেতা তাপস চন্দ্র দাসের মামলায় বাউফল উপজেলা ও বাউফল পৌর ছাত্রলীগের (মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত) ১৩ নেতাকর্মীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলােই) দুপুরে ওই ১৩ জন আদালতে আত্ম সমর্পণ করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। এর আগে বাউফল থানা পুলিশ ঘাতক সাইমুনসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠান।

সূত্র জানায়, উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলার আসামী (মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সর্মথিত) উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোয়েল, পৌর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিফ ও ইকবাল, বাউফল সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শুভ ও দাশপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানসহ ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট মো. শিহাব উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক জানান, আসামিদের মধ্যে মূল নায়ক খুনের হকুমদাতা বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা কিছু নেতার ছত্রছায়ায় ঢাকায় অবস্থান করলেও পুলিশ তাদেরকে পলাতক বলে আমাদেরকে জানান। দিনে দুপুরে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিত মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে থানার সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস দাসকে মেয়র সমর্থকরা ছুড়িকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।

 

ওই দিনই রাত সারে আটটার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাপস মারা যায়। ওই ঘটনায় তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাদি হয়ে পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Development by: webnewsdesign.com