রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক আক্রান্ত বেড়ে ৭১৪৯ জন

সোমবার, ০৬ জুলাই ২০২০ | ৪:৪০ অপরাহ্ণ

রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক আক্রান্ত বেড়ে ৭১৪৯ জন

রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতুুর সংখ্যা। আক্রান্ত সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৯৮ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।

 

সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৪৯ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৮ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ২০৯৫ জন। সোমবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৮৯ জন, নওগাঁর ২০ জন, নাটোরের ৬, বগুড়ায় ৬৮ জন ও পাবনার ১১০। তবে বিভাগের অপর তিন জেলা জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।

 

ডা: গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৭১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩৩৭৫ জন আক্রান্ত। এছাড়াও মহানগরীতে ৮৬৯ জনসহ রাজশাহী জেলায় ১১৭৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৫৮৪ জন, নাটোরে ২৫০ জন, জয়পুরহাটে ৪৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৬২৭ জন ও পাবনায় ৫৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৯৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১২ জন, নওগাঁয় সাতজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৬২ জন, সিরাজগঞ্জে আটজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি।

 

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৫৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন ২০৯৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৬৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ৩৮৬ জন, নাটোরে ৮২ জন, জয়পুরহাট ১৫৬ জন, বগুড়ায় ১০২৩ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৭ জন ও পাবনায় ১৫৫ জন।

 

ডা: গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

Development by: webnewsdesign.com