পটুয়াখালীর বাউফলে কাবিখার চাল জব্দ,২০ হাজার টাকা জরিমানা

বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০ | ৪:০৮ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফলে কাবিখার চাল জব্দ,২০ হাজার টাকা জরিমানা

বাউফলে ১৬০ বস্তা কাবিখার চাল জব্দ করে বিপাকে পড়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই পটুয়াখালীর একটি টীম। আজ বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ধানহাটা এলাকায় আব্দুর রহিম নামের ক্ষুদ্র এক চাল ব্যবসায়ির গোডাউনে এঘটনা ঘটেছে। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে চাল ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ক্ষুদ্র এক চাল ব্যবসায়ি আব্দুর রহিম গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-নন সোলার খাত) কর্মসূচীর আওতায় চারটি প্রকল্পের মোট ১১.৫ মেঃটঃ চাল ক্রয় করেন।

 

প্রকল্পগুলো হলো দাসপাড়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের পাঁচ বাড়ি থেকে শাহজাহান সিকদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পূণ:নির্মাণের অনুকুলে ২ মেঃটঃ, কালাইয়া ইউপির আয়নাবাজ কালাইয়ার মহাসড়ক থেকে নূরুল হক মিয়ার বাড়ির জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পূণ: সংস্কারের অনুকুলে ২.৫ মে:ট:, একই ইউপির শৌলা গ্রামের রাজ্জাক আকন বাড়ির রাস্তা পূণ:সংস্কারের অনুকুলে ৩ মে: ট: এবং দাশপাড়া ইউপির সুলতান সিকদার বাড়ি রাস্তা পূণ: সংস্কারের অনুকুলে ৪ মে: ট: চাল বরাদ্দ দেয় হয়।

 

সরকারি চাল ক্রয় করে বাজারজাত করছেন এমন গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলার এনএসআই এর একটি টীম বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের আব্দুর রহিমের গোডাউনে অভিযান চালায়। এসময় গোডাউনে ১৬০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল ছিল। চাল ক্রেতার পক্ষে চারটি প্রকল্পের কাগজপত্র দেখালে এনএসআই টীম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলণের জন্য প্রদেয় ছাড়পত্র সঠিক এবং কাবিখার চাল বাজারে বিক্রি করে শ্রমিকদের চাউলের পরিবর্তে টাকা দেয়ার বিধান রয়েছে বলে জানান।

 

তবে কাবিখার চাল নূরজাহান কোম্পানীর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বিক্রি করা প্রতারণার সামিল বলে মন্তব্য করেন। এসময় ঘটনাস্থলে অনেক সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা চলে গেলে এনএসআই টীম বাউফল থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন। এনএসআই টীমের প্রধান বলেন, তারা গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এসেছেন। চাল ক্রয় ঠিক থাকলেও নূরজাহার কোম্পানীর প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরে বিক্রি করা ভোক্তা অধিকারের পরিপন্থি। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে ভোক্তা অধিকার পরিপন্থি কাজ করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট করতে পারেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি পটুয়াখালী জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাকে জানালে তার পরিবারে করোনা রোগি রয়েছে বিধায় স্পটে আসা যাবে না বলে জানান। অবশেষে বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে চাল ছেড়ে দেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি চাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কিন্তু চালগুলো কোন কর্মসূচীর সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। এরফলে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে একই সাথে গ্রামীণ অবকাঠামো কর্মসূচী বাস্তাবায়ন স্থবির হয়ে পড়ছে।

Development by: webnewsdesign.com