রাজধানীতে বিপুল পরিমান জাল টাকা ও ভারতীয় রুপিসহ, গ্রেফতার ৬

সোমবার, ২৯ জুন ২০২০ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ

রাজধানীতে বিপুল পরিমান জাল টাকা ও ভারতীয় রুপিসহ, গ্রেফতার ৬

আসন্ন ঈদ-উল-আযাহাকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের ব্যাপকতা এবং ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু চক্র দেশব্যাপী জাল টাকা ছড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপল্েয কুরবানির পশুর হাটের ব্যাপক লেনদেনকে কেন্দ্র করে জাল টাকা ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এক শ্রেণীর অসাধু চক্র আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরী করে বাজারে ছাড়ছে। বিশেষ করে ১০০/- (একশত) টাকার নোটকে সিদ্ধ করে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকার ছাপ দিয়ে এবং বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে তৈরীকৃত ১,০০০/- (এক হাজার) টাকার জাল নোট গুলো দেখে আসল না নকল চেনা সাধারণ জনগণের পে প্রায় অসম্ভব। প্রতি বছর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশব্যাপী পশুর হাট গুলোতে জাল টাকার বিস্তাররোধ এবং দেশের সাধারণ জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদেরকে জাল টাকার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া থেকে রার জন্য জাল টাকা চক্রকে ধরার পাশাপাশি বাজার থেকে জাল নোট উদ্ধারে লক্ষে র‌্যাব-২ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল গতকাল রাত ১২ ঘটিকা থেকে মিরপুর পল্লবী এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জাল টাকার বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করে। রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ১২/ই ব্লক বাসা নং ৬২ এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা জি ব্লক বাসা নং ১৬১ হতে আনুমানিক চার কোটি(১০০০ টাকার নোট ) জাল টাকা এবং ভারতীয় রুপি (আনুমানিক ৪০ লক্ষ, ৫০০ ও ২০০০ রুপির নোট)সহ (১) মোঃ সেলিম (৪০), (২) মোঃ মনির(৪৫), (৩) মোঃ মঈন(৪০),(৪) মোছাঃ রমিজা বেগম (৪০), (৫) মোছাঃ খাদেজা বেগম (৪০), ও (৬) মোঃ শাহীনুর ইসলাম(১৫) নামক ৬ জন জাল টাকা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেনএবং জাল টাকা বানানোর জন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস, কাটার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল টাকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাচামাল (কাগজ, কালি, জলছাপ দেয়ার সমাগ্রী) উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা (জাল টাকা তৈরীর) সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। আসামীরা জানায়, মোঃ মঈন মোঃ মনিরকে জাল টাকা ছাপানোর সহযোগিতা করত এবং প্রিন্ট করা টাকা কাটিং করার পরিকল্পনা করেছিলো। এবং রমিজা বেগম সেলিমকে কাগজে আঠা লাগানোর কাজে সহয়তা করতো এবং প্রয়োজনীয় ফুটফরমাশ খাটতো। মোছাঃ খাদিজা বেগম এবং শাহীনুর সাদা কাগজে নিরাপত্তা সুতার জলছাপ দেয়ার কাজ করতো। গোয়েন্দা সূত্রে ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এ বিপুল পরিমান জাল টাকা আসন্ন কোরবানি ঈদে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। করোনাকালীন এ সময়ে জাল টাকার এ ছড়াছড়ি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে।জাল টাকা একটি বিশাল সিন্ডিকেট দেশের অভ্যন্তরে কাজ করছে এবং এর বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান পূর্বের ন্যায় চলমান রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com