সদরঘাটে লঞ্চডুবির ঘটনায় একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করছেন উদ্ধারকারীরা। মাঝ নদীতে নৌযানে সারি করে রাখা হচ্ছে মরদেহগুলো। প্রিয় মানুষের মৃত্যুতে ধৈর্য আর বাধ মানছে না স্বজনদের। নৌকা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন মাঝ নদীতে সারি করে রাখা মরদেহের কাছে। বুকভাঙা কান্নার কাছে নিজেদের সঁপে দিচ্ছেন প্রিয়হারা স্বজন। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বুড়িগঙ্গার আকাশ-বাতাস।
দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র্যাবের সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৬ জন ডুবুরি ক্লান্তিহীন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুর দেড় টা পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, এখন আর আনুমানিক বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ডুব দিলেই তাদের হাতে পায়ের সঙ্গে মরদেহ বাঁধছে।
কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া উইং এর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন নারী, ২৩ জন পুরুষ এবং ২ জন শিশু রয়েছে। সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা দোতালা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজার এলাকার ডুবে যায়। লঞ্চে ৫০ যাত্রী ছিল জানা গেছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিল। দু’টি লঞ্চের সংঘর্ষের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা। এদিকে লঞ্চটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করছেন। এছাড়াও নৌপুলিশ ও নৌবাহিনী কাজ করছে। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি জাহাজ
Development by: webnewsdesign.com