সিলেট নগরীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে

রবিবার, ২৮ জুন ২০২০ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ

সিলেট নগরীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে

সিলেট নগরীতে ভারী বর্ষণ চলছে সকাল থেকেই। টানা বৃষ্টির কারণে পানি জমে নগরীর অধিকাংশ রাস্তা এখন পানি কবলিত। অবিরাম বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে নগরীতে যানবাহনও ছিল কম। করোনার মধ্যে অফিসগামীদের তাই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সিলেট নগরীতে জুন মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার গভীর রাতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার সকাল থেকেও আকাশ ছিলো মেঘে ঢাকা। রোববার দিনের শুরু থেকেই চলতে মুষলধারে বৃষ্টি। দীর্ঘ সময় চলতে থাকে সেই বর্ষণ। ফলে করোনার মধ্যেও যারা ঘরের বাইরে ছিলেন, তারা অনেকটা ভোগান্তিতে পড়েন।

বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে সকল ধরণের যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর শহরতলীর কোথাও কোথাও হাঁটু পানি ছিল। এ অবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হয় অনেকের। এতে বেশী সমস্যায় পড়তে হয় খেটে খাওয়া মানুষকে। সকাল থেকেই নগরীর নাইওরপুল, সাপ্লাইরোড, পাঠানটোলা, বাঘবাড়ি, সুবিদবাজার ও জিন্দাবাজারের কিছু কিছু সড়কে এই জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে।

 

খাদিমনগর থেকে কর্মস্থল জিন্দাবাজারের উদ্দেশ্যে বের হন আম্বিয়া নামের একজন সরকারি কর্মকর্তা। প্রতিদিন সময় মতো অফিসে পৌঁছতে পারলেও তীব্র বৃষ্টির কারণে রোববার সাড়ে এগারোটার দিকে প্রবেশ করেন অফিসে। আবুল একজন সিএনজি চালক। তিনি জানান, করোনার মধ্যে এমনিতে রোজগার কমে গেছে। তারমধ্যে বৃষ্টি হবার ফলে যাত্রী নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রিকশা চালক সফিক মিয়া জানান, আগে বৃষ্টি হলে মোটামুটি ভালো রোজি হতো। এখন করোনা ভাইরাস থাকায় রোদ হলেও মানুষ রিকশায় কম উঠেন। তিনি বলেন, সংসার চালাতে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে বের হয়েছিলাম। কিন্তু মানুষ না থাকায় রোজি নেই।

 

কথা হয় সবজি ব্যবসায়ী রশিদ আলীর সাথে। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। সকাল থেকে বাজারে মানুষও আসছেন না। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, আরো ১০ দিন সিলেট অঞ্চলে একটানা বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আজ রোববার প্রচুর বৃষ্টিপাতের হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com