রবিবার, ২১ জুন ২০২০ | ১০:২৩ অপরাহ্ণ
বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য করছেন হারুন মোল্লা ও মোফাজ্জল হোসেন সাগরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম।
রোববার (২১জুন) গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাংগাব এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ গিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্য দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার মো. মাইদুল ইসলাম এবং মনোরঞ্জন বর্মন।
এরপর টাংগাব গ্রামের সৌদি বাজার এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান পরিচালনা করে হারুন ও সাগরে টিমের সদস্য মোক্তার খান(২৫) ও মাসুম গাজী নামের(রহমত আলী গাজী,৩৭) ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ বালু উত্তোলনে কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার ও নৌকা জব্দ করা হয়।
কারণ তারা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারা লঙ্ঘন করেছে। আদালত অভিযুক্ত মোক্তার খান ও মাসুম গাজীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের জেলে দেয়।মোক্তার খান অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তাকে জেল হাজতে দেওয়া হয়। মাসুম গাজি তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা পরিশোধ করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হারুন মোল্লা ও সাগর মিলে বানার নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বছরের পর বছর প্রতিদিন অন্তত ১৫০-২০০টি ট্রলারের করে ১ হাজার থেকে ১২ লাখ বর্গফুট বালু, বরমী, মাওনা, কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন স্পটে বিক্রি করছেন। টাংগাব এলাকার চরবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ্য বালু ফেলে কৃষকের ফসলী জমি নষ্ট করেছে। কেউ কোনো কথা বললে, প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
ঘন্টা তিনেক চলা অভিযান পরিচালনা শেষে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ধরে একটি বড় স্থানীয় চক্র নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। উপস্থিত ব্যক্তিদের অপরাধে তাদের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখনো মুলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের শিগগিরই ধরা হবে।