গত ১০ জুন বুধবার সময় ১৫.০০ ঘটিকায় এসএমপির দণি সুরমা থানা পুলিশ ধোপাঘাট এলাকার রাস্তার পাশে সাদা রঙের বস্তাবন্দি এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার আনুমানিক বয়স ৩৮। ধারণা করা হয় দুর্বৃত্তরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উল্লিখিত স্থানে ফেলে যায়।

পরবর্তীতে দণি সুরমা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে প্রেরণ করা হয়। থানা পুলিশ আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম পরিচয় সংগ্রহ করে।

ভিকটিমের নাম ও ঠিকানা:- ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮), পিতা- আব্দুল আলী, সাং- দত্তপুর, থানা- বালাগঞ্জ, জেলা- সিলেট, বর্তমান ঠিকানা- নয়াবাজার, মংলিপার, থানা- এয়ারপোর্ট, এসএমপি, সিলেট। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ ইউসুফ আহমদ (৩২) এসএমপির দণি সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে যার মামলা নং:- ০৫, ধারা ৩০২/৩৪, তারিখ:- ১১ জুন ২০২০। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তদন্ত থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-৯ মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।

মামলার সূত্র ধরে র‌্যাব জানতে পারে যে, মোছাঃ মৌসুমী বেগম (২৩) ও তার স্বামী রুহুল আমিন (৩৫) এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত। পরবর্তীতে ১২ জুন ২০২০ ইং তারিখ ভোর ০৪০০ ঘটিকায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মোঃ শরীফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামিউল আলম সহ একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসএমপির মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মূলত ভিকটিম ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮) মৌসুমী বেগমকে উত্ত্যক্তকরায় এবং অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চাপ প্রদান করার প্রতিশোধ হিসাবে মৌসুমী বেগমের স্বামী রুহুল আমীন ও বন্ধু পলাতক আসামী শাহেদ এই হত্যা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে।

গত ১০ জুন ২০২০ ইং তারিখে ভিকটিম মৃত ইউনুস আহমদ শামীমকে বিয়ানীবাজার নিজ বাড়িতে আসতে বলে। অনুমানিক রাত ০১.০০ ঘটিকায় বিয়ানীবাজারে হত্যাকান্ড করে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে সিলেটের দণি সুরমায় ফেলে দেয়। উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান আছে।