গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, করোনার কারণে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে আসেন নাই, তাই তিনি এই রিট আবেদন করেছেন। সংবিধানের ১৫, ৩১ এবং ৩২ অনুযায়ী সরকার চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করে জীবনের নিরাপত্তা দেবে।
সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্য পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার ৯০ দিনের মধ্যে ওই শূন্যপদ পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনের মতে কোনো দৈব দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয় তাহলে ওই মেয়াদের শেষ দিনের পরর্বতী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচন ৯০ দিন পরের ৯০ দিনের মধ্যেও নির্বাচন করতে পারে এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটতো না বরং মানুষের জীবন বাঁচানো যেতো।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে। ভোটের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।
শনিবার (২১ মার্চ) রাতে এ ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন। তবে তার আগে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরই ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি ফের ভোট চান। এ সময় কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া, দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারসহ নানা অভিযোগ করেন তিনি।
ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর বাংলামোটরে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী রবিউল আলম রবি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আধিপত্য বিস্তার, দখল ও কেন্দ্রে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে মানুষ ভোটবিমুখ হয়েছে। যে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারল না সে নির্বাচন আমার দল বিএনপি এবং আমি বর্জন করছি। ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
Development by: webnewsdesign.com