আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। অথচ সরকারিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করার নির্দেশ থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় শ্রদ্ধা জানাতে দূর দূরান্তে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দিবসটি পালিত হয় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে। তেরখাদা উপজেলায় ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা, ৯টি কলেজের মধ্যে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। এবং ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সরকারি ইখড়ি কটেংগা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইখড়ি দাখিল মাদরাসা, পানতিতা মাদরাসা, শালিকদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এ দৃশ্য শুধু এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
সূত্রে জানা যায়, শহীদ দিবসে কোথাও কোথাও বাঁশ কলাগাছ ও মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস জানতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্রুত শহীদ মিনার তৈরি করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই স্বীকার করে বলেন, উপজেলা যেসকল স্কুলে শহীদ মিনার নেই। সেখানে বিকল্প পন্থায় শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদরাসা, ৭টি কলেজের মধ্যে ২-১ টি তে শহীদ মিনার আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি বিভিন্ন দপ্তরে প্রস্তাব করেছি। কিন্তু তাতে কোন সাড়া মেলেনি। সর্বশেষ তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করেছি তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।
Development by: webnewsdesign.com