ওসমানীকে সম্মান জানাতে ভুলে যাই

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩:৩০ অপরাহ্ণ

ওসমানীকে সম্মান জানাতে ভুলে যাই

বলিউডের একটা সিনেমা দেখেছিলাম ‘গাজনী’। আমির খান চমৎকার অভিনয় করেছিলেন। সেখানে আমির খানের একটা মারাত্মক অসুখ থাকে ‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’- খুব দ্রুতই তিনি সবকিছু ভুলে যেতেন। এমনকি তিনি নিজে কে, কোথা থেকে এলেন- এমন সব সাধারণ কথাও মনে করতে তার কষ্ট হতো।

আমরাও জাতি হিসেবে ঐ ‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’ নামের ভয়ংকর অসুখে ভুগছি। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গৌরব করি, কতো কবিতা লিখি, গল্প-উপন্যাস পড়ি, নাটক-সিনেমা বানাই। অথচ মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীকে সম্মান জানাতে প্রায়ই ভুলে যাই। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, আমাদের এই কিংবদন্তীর মৃত্যুদিন। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬৫ বছর বয়সে বাংলার এই মহানায়ক, সিলেটের বীর সেনানী মৃত্যুবরণ করেন। গত কয়েক বছর ধরে তাকে নিয়ে আলোচনা, তাঁর জীবনী চর্চা ও তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে আমরা প্রতিনিয়ত কার্পন্য করছি। অথচ জাতির ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধুর ডাকে তিনি তার অবসর ভেঙে আবারও যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। একটি তুলনামূলক কম প্রশিক্ষিত বাহিনীকে পুঁজি করেই তাঁর দূর্দান্ত নেতৃত্বগুণ ও রণকৌশল দিয়ে প্রশিক্ষিত পাকিস্তান বাহিনীর মোকাবেলা করেছিলেন এবং বিজয়ী হয়েছিলেন।

আমাদের তরুণ প্রজন্ম এই মহান যোদ্ধার জীবনী জানতে আগ্রহী হবে বলে আশা করি। তাঁর ব্যক্তিত্ব এমন ছিলো যে বৈঠকে ভারতের জেনারেলরাও তার মতামতকে ভীষণ সমীহ করতেন। চাকুরিজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হয়ে বিভিন্ন যুদ্ধে তিনি অনেক বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন চিরকুমার। সিলেট শহরের নাইওরপুলের কাছে অবস্থিত তাঁর বাড়িটি এখন ‘ওসমানী জাদুঘর’ হিসেবে কালের স্বাক্ষ্য বহন করছে।

মুক্তিযুদ্ধ যদি আমরা সত্যিই নিজের চেতনায় ধারণ করি তবে অবশ্যই তাকে যথাযথ সম্মান দেখাবো। তাকে সম্মান না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পূর্ণতা পাবেনা কখনো। আল্লাহ তাকে বেহেস্তের অতি উচ্চ স্থান দিন- এই দোয়া করি…। (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)

Development by: webnewsdesign.com