রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর শাখার একটি হিসাব নম্বরে হাসিনা খাতুন নামে এক বিধবার ১৯ মাসের ভাতার সাড়ে ৯ হাজার টাকার হদিস মিলছে না। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই বিধবা রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট আবেদন করেছেন। হাসিনা খাতুন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মন্ডলের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামের মৃত আছাব আলীর স্ত্রী ছালেকা খাতুনের নামে ২০১২ সালের বিধবা ভাতার কার্ড হয়। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মথুরাপুর শাখা থেকে মাসে ৫০০ টাকা করে বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে ছালেকা খাতুনের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে ওই বিধবা ভাতার কার্ডটি একই গ্রামের হাসিনা খাতুনের নামে প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসিনা খাতুন ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ভাতাভোগী হয়েছেন। তার বই নম্বর ৮৩৮ এবং ব্যাংক হিসাব নম্বর ৩০৩৫। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মথুরাপুর শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে হাসিনা খাতুন দেখেন তার হিসাব নম্বরে এক টাকাও জমা নেই। তিনি কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তার নিকট ঘুরে ঘুরে ভাতার টাকার হদিস করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মথুরাপুর শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ একজন কৌশল করে বিধবা ভাতার টাকা ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে বিধবা কার্ডধারীকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। বিধবা ভাতার টাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই বিধবার টাকার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিধবার আবেদনের বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com