কাশ্মীরি কুল চাষে দুই বন্ধু সফল

সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | ২:২৩ অপরাহ্ণ

কাশ্মীরি কুল চাষে দুই বন্ধু সফল

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফনগর এলাকার দুই বন্ধু উদ্যোগ নেন কাশ্মীরি আপেলকুল চাষে। বন্ধুত্বের বাঁধনে পেশায় একজন ডাক্তার ও অন্যজন ব্যবসায়ী। এতটুকু অবসর সময়ও হাতে নেই তাদের, তবুও সখের বসে অন্যের জমি লিজ নিয়ে শুরু করে কাশ্মীরি আপেলকুল চাষ।

শুরুটা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে যশোর থেকে প্রতিটি চারা ১০০ টাকা দরে ক্রয় করে এনে কইল গ্রামে কাশী¥রি আপেলকুল বাগান শুরু করে। রোপনের বছরেই ফল পেতে বসেছে। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। জমি বা মাটি নির্বাচনে কোন ভেদাভেদ না থাকায় উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ৪০ শতাংশ জমিতে ৪০০ চারাগাছ লাগিয়েছেন তারা। মোটেই জমি লিজ, চারা ক্রয়, আশেপাশে ঘেরা পরিচর্যাসহ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা।

প্রতিটি গাছে লাল সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে আপেল কুল। গাছে গাছে যেন পাতার চেয়েও ফলই বেশি। তবে পাখির হাত থেকে ফল রক্ষা করতে কুল বাগান জুড়ে টানানো হয়েছে জাল। এবারই প্রথম ফল পেলেও প্রতিটি কুল ১০০ গ্রামের মতো ওজন হওয়ায় প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ কেজি কুল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন তারা। এ অঞ্চলে কাশ্মীরি আপেলকুল চাষ তাদেরই প্রথম। ভাল ফলন ও চাষযোগ্য সহজ হওয়ায় আশেপাশের মানুষজন প্রতিনিয়ত তাদের বাগান পরিদর্শন ও তাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছেন।

উদ্যোক্তা ডাক্তার মোত্তাকিন ও তরুন মোহন্ত বলেন, আমারা কৃষিতে বেকারদের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা ভেবে এবং তাদের কৃষি নির্ভর করতে ভাল জাতের ফলজ অনুসন্ধানে কাশ্মীরি জাত নির্বাচন করি। কাশ্মীরি জাতের আপেলকুল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজার জুড়ে চাহিদা ব্যাপক। তবে আশা করছি জমি থেকে পাইকারী ১০০ টাকার উপরের বিক্রয় করা সম্ভব।

উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, কাশ্মীরি আপেলকুল চাষে মাটির ভেদাভেদ ও অতিরিক্ত খরচ না থাকায় এ কুল চাষ লাভ জনক। বর্তমান এই অঞ্চলে কিছু উদ্যোক্তা পেয়েছি যারা চায়না কমলা, মাল্টা, থাইপিয়ারাসহ কাশ্মীরি আপেলকুল চাষে আগ্রহী, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

Development by: webnewsdesign.com