মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন যেভাবে

রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন যেভাবে

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হওয়া যাবে। এ জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

মুজিববর্ষ শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ। শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। এর ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। এদিন বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো এবং ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে। এতে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ অংশ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষের উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য event.mujib100.gov.bd ওয়েবপেইজে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ফরমে আবেদনকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা যথাযথভাবে পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রশন সম্পন্নকারীরা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ইনভাইটেশন ফরম প্রিন্ট করে সঙ্গে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ থাকবে। একটি বিমান অবতরণ করবে, আলোক প্রক্ষেপণ থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতীকী অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারদেশে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, হাতিরঝিল, উত্তরা ও বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮টি ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৫৩টি জেলায় ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে বিশেষভাবে ক্ষণগণনার দুটি যন্ত্র বসানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষণগণনার ব্যবস্থা করছে।
জেলা ও সিটি করপোরেশন ক্ষণগণনা মনিটরিং করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। এছাড়া উপজেলাগুলোতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিবর্ষের মূল অনুষ্ঠানে দুই লাখ মানুষ অংশ নিতে পারবেন বলে জানান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মুজিববর্ষের প্রথম দিন আগামী ১৭ মার্চ প্রথম ভাগে আলোচনা, বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান তিনি।

Development by: webnewsdesign.com