সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সাভার প্রতিনিধি
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ দিনে মেলে আমাদের আকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতিকে এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। যাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ স্বাধীনতা, সেইসব শহীদকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় আজ সারাদিন স্মরণ করবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ বিশিষ্ট জনেরা। এরপরই স্মৃতিসৌধের মূল ফটক সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বিজয় দিবস উপলে স্মৃতিসৌধকে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। দিবসটি উদযাপনে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের টানা কয়েকদিনের অকান্ত পরিশ্রমে এ নতুন রূপ পেয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এছাড়া প্রশাসনের প থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, গত ১ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য স্মৃতিসৌধ বন্ধ রেখে শেষ করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। মহান বিজয় দিবস উপলে এবার স্মৃতিসৌধকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের মূল ফটক থেকে সৌধ স্তম্ভ পর্যন্ত ইটের গাঁথুনিগুলোতে দেওয়া হয়েছে লাল-সাদা রংয়ের আঁচড়। পায়ে হাঁটার পথের দুই পাশে বসানো হয়েছে লাল টকটকে ফুল গাছের টব। লাল-সবুজের আভায় সেজেছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা।
ঢাকার জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশ ও ব্রিজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। রয়েছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে সার্বণিক গোয়েন্দা নজরদারি। সাভারের আমিনবাজার থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাড়কের পাশে সাভারের নবীনগরে এই স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। পরে ১০৮ একর জায়গা নিয়ে লেক ও বৃরাজি পরিপূর্ণ একটি সবুজ বলয়ের মাঝে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ও দশটি গণসমাধিসহ বেশ কিছু স্থাপনা।

Development by: webnewsdesign.com