মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত আছে : যুক্তরাষ্ট্র

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | ১:১৬ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত আছে : যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক
রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে আন্তর্জাতিক একটি কনভেনশন লঙ্ঘন করছে মিয়ানমার এবং ১৯৮০ সাল থেকে তাদের কাছে যে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল তা এখানো আছে। তারা সেটা ধ্বংস করেনি। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত সোমবার রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাব্লিউ-এর বার্ষিক সভায় এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ভারী গ্যাস উৎপাদনের একটি ক্ষেত্রে এখনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে।
২০১৫ সালে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে (সিডাব্লিউসি) স্বাক্ষর করে। কনভেনশন অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী দেশের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, উৎপাদন কিংবা মজুত নিষিদ্ধ। কনভেনশনের মাধ্যমে গঠিত সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ মুলত বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়টির ওপর নজরদারি করে।
গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের হেগে সংস্থাটির বার্ষিক সভা বসেছিল। তাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সহকারী সচিব বলেন, ‘মিয়ানমারের ঐতিহাসিক রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিতে এখনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। কনভেশন লঙ্ঘন করায় যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতে আসা উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিতভাবে বলছে যে, মিয়ানমার স্পষ্টতই রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন লঙ্ঘন করছে। কেননা এর আগে তারা তাদের অতীত রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু জানায়নি এবং এখনো তারা তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিও ধ্বংস করেনি।’
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেকবার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই অভিযোগ এমন সময়ে আসলো যখন মিয়ানমার রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।
২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ধর্ষণ ও গণহত্যার মাধ্যমে নিধন অভিযান শুরু করলে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেসব অপরাধের দায়ের দেশটির সরকার, সেনাবাহিনী ও তাদের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতসহ সম্প্রতি দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com