কবি রবিউলের ইন্তেকাল

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | ১:২৬ অপরাহ্ণ

কবি রবিউলের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার
একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিছুল হক এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. হারিছুল হক বলেন, ‘রবিউল হুসাইন এ প্লাস্টিক এনিমিয়াতে ভুগছিলেন। এটি এক ধরনের ‘বোন ক্যানসার’। এতে করে শরীরে রক্ত উৎপাদন হয় না। তার রক্ত কমে যাচ্ছিল। ১৬ নভেম্বর রবিউল হুসাইন বিএসএমএমইউতে হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা বেগমের অধীনে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিএসএমএমইউতে ভর্তির আগে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।’ পরে রবিউল হুসাইনকে বিএসএমএমইউ থেকে তার ধানমন্ডির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে স্থপতি রবিউল হুসাইনকে দেখতে বিএসএমএমইউতে আসেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বাংলা একাডেমির হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবিরসহ অন্যরা। তারা বলেন, ‘রবিউল হুসাইন নিভৃতচারী ছিলেন। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা একজন অভিভাবক হারালাম।’
শাহরিয়ার কবির জানান, আজ বুধবার প্রথমে বাংলা একাডেমি হয়ে সকাল সাড়ে দশটায় শ্রদ্ধা জানাতে রবিউল হুসাইনের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তার জানাজা হবে, বাদ জোহর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
রবিউল হুসাইন ১৯৪৩ সালে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পাওয়া এই কবি কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্যও।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তিনি।
রবিউল হুসাইনের লেখা উল্লেখযোগ্য বই হলো−‘কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে’, ‘আরও ঊনত্রিশটি চাঁদ’, ‘স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট’, ‘কর্পূরের ডানাঅলা পাখি’, ‘আমগ্ন কাটাকুটি খেলা’, ‘বিষুবরেখা’, ‘দুর্দান্ত’, ‘অমনিবাস’, ‘কবিতাপুঞ্জ’, ‘স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা’, ‘যে নদী রাত্রির’, ‘এইসব নীল অপমান’, ‘অপ্রয়োজনীয় প্রবন্ধ’, ‘দুরন্ত কিশোর’, ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘গল্পগাথা’, ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়াগুলি’ ইত্যাদি।

Development by: webnewsdesign.com